Home অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন রিকশাচালক-মালিকরা।

নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন রিকশাচালক-মালিকরা।

SHARE

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা ও কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় তারা সড়কে অবস্থান নিয়ে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বিক্ষোভ করে। যানবাহন বন্ধ করে তারা রাস্তায় গান, নাচ, ফুটবল, তাস খেলায় মেতে উঠেছেন। এতে ওই তিনটি প্রধান সড়ক এবং তার আশপাশের সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে এবং নগরজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অসংখ্য যানবাহন বিক্ষোভের মাঝে পড়ে একই স্থানে দাঁড়িয়ে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, সড়কে আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে অফিসগামী মানুষ, স্কুলগামী শিক্ষার্থী, পথচারী, নারী ও শিশুদের। অনেকে বাধ্য হয়ে দীর্ঘপথ পায়ে হেঁটে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে বাধ্য হন। গত ৩ জুলাই ঢাকা সিটি করপোরেশন (দক্ষিণ-উত্তর) ও ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কন্ট্রোল অথরিটির (ডিটিসিএ) সমন্বিত বৈঠকে ঢাকার তিন রুটে রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ হওয়া রুটগুলো হলো- গাবতলী থেকে আজিমপুর, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় থেকে শাহবাগ মোড়, কুড়িল বিশ্বরোড থেকে সায়েদাবাদ রুট।

আজ সকাল ৮ থেকে কুড়িল-রামপুরা-মালিবাগ সড়কের বিভিন্ন অংশ অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন রিকশা চালকরা। অবরোধের কারণে সড়কের উভয় পাশেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ওই সড়ক দিয়ে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। বিকাল পর্যন্ত চলা এ অবরোধে আশপাশের সড়কসহ হাতিরঝিল এলাকা স্থবির হয়ে পড়ে।

প্রাইভেটকার, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, মাইক্রোসহ হাতিরঝিলের চক্রাকার বাসও সড়কে স্টার্ট বন্ধ করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সামনে আগাতে না পেরে অনেক গাড়ি চালক উল্টা দিকে গাড়ি ঘুরিয়ে আগাতে থাকে। এতে এক সময় দুই দিকের গাড়ি মুখোমুখি হয়ে সড়কে হেঁটে চলার মতও কোনো জায়াগা থাকে না। এদিকে, সকাল ১০ টার দিকে মালিবাগ রেলগেইট এলাকা ব্লক করে দেয় রিকশা শ্রমিকরা। সকাল ১০টা থেকে বিকাল পর্যন্ত তারা ওই সড়কে অবস্থান নিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে রাখে।