Home জাতীয় নারী ও শিশুদের পাশবিক নির্যাতন প্রয়োজনে আইন আরও কঠোর করা হবে: সংসদে...

নারী ও শিশুদের পাশবিক নির্যাতন প্রয়োজনে আইন আরও কঠোর করা হবে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

641
0
SHARE

সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সামাজিক অপরাধ, নারী ও শিশুদের ওপর পাশবিক অত্যাচারের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, প্রয়োজনে বিদ্যমান আইনকে আরও কঠোর করা হবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস না পায় সেজন্য জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

এ ব্যাপারে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, ধর্ষকদের চেহারা যেন বারবার দেখানো ও প্রকাশ করা হয়। যাতে এই জঘন্য অপরাধীরা লজ্জা পায়। পাশাপাশি পুরুষ সমাজকেও ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারীরা কেন একা প্রতিবাদ করবে। এ বিষয়ে পুরুষদেরও সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার রাতে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গত এক দশকে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসোপানে যাত্রা শুরু করেছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাব।

দেশকে আরও সমৃদ্ধিশালী করব। ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে উন্নত সমৃদ্ধিশালী দেশ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি করি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য। দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে হবে সেই রাজনীতি আমি করি না। আমার প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে দেশের উন্নতি ও দেশের মানুষের কল্যাণ। দেশের মানুষকে একটু সুন্দর জীবন দেয়াই আমার প্রধান লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রীর সমাপনী বক্তব্য শেষে স্পিকার রাষ্ট্রপতির আদেশ পাঠ করে সংসদ অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই দেশের উন্নয়ন হয়। সারা বিশ্বেই এখন বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।

তিনি বলেন, দেশের আরও উন্নতি করতে হলে দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। এবারের বাজেটে প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২ ভাগে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। কারণ আমরা দেশকে উন্নয়নের পথে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, আন্তর্জাতিক বিশ্বেও আজ প্রমাণিত উন্নয়নে বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন বিশাল বাজেট নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছি। বাজেটের বৈদেশিক সাহায্যের পরিমাণ মাত্র শূন্য দশমিক ৮ ভাগ।

আমরা দেশকে এগিয়ে যাচ্ছি মানুষের কল্যাণের জন্য। ভিক্ষা চেয়ে নয়, দেশের নিজস্ব সম্পদ নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব। কারণ আমাদের দেশের সম্পদ জনগণ আর দেশের মাটি হচ্ছে উর্বর। আমরা দেশের যে উন্নতি করতে পারি তা আজ প্রমাণিত। আগামী এক বছরে দেশের মাথাপিছু আয় ২ হাজার মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।
দেশের উন্নয়ন ও সফলতার বিবরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি ৪ দশমিক ৯ ভাগে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি। সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করেছি, দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের মানুষের পুষ্টিও নিশ্চিত করেছি বলেই পুরুষের গড় আয়ু ৭২ দশমিক ৮ ভাগ এবং নারীদের গড় আয়ু ৭৩ বছরে উন্নীত হয়েছে। খাদ্যে ভেজালের কথা বলা হয়, অথচ মানুষের গড় আয়ু বাড়ছে। রফতানি আয় অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এলএনজি আমদানি করছি গ্যাসের চাহিদা মেটানোর জন্য। দেশে শিল্পায়ন হচ্ছে, শিল্পায়নের সঙ্গে সঙ্গে গ্যাসের চাহিদাও বাড়ছে। কিন্তু সে পরিমাণ গ্যাস আমাদের দেশে নেই। আমরা গ্যাসকূপ খনন করছি। গ্যাসের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে, যেটুকু পাওয়া যাচ্ছে উত্তোলন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি। সেখানেও গ্যাস উত্তোলনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। গ্যাসের দাম বাড়ানো নিয়ে কথা হচ্ছে। দাম বাড়ানোর প্রয়োজনটা কেন ছিল? গ্যাসের বর্ধিত ব্যয় নির্বাহের জন্য পেট্রোবাংলা ও বিভিন্ন কোম্পানি গ্যাসের দাম ১০২ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছিল।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এলএনজি গ্যাস আমদানি এটা খুব ব্যয় সাপেক্ষ। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন মূল্যায়ন করে দেখেছে বর্ধিত ব্যয় নির্বাহের জন্য কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ দাম বৃদ্ধি করার প্রয়োজন ছিল।

সেখানে আমরা কতটুক দাম বৃদ্ধি করেছি? গ্রাহকদের আর্থিক চাপের বিষয়টা বিবেচনা করে কমিশন মাত্র ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ দাম বৃদ্ধি করেছে। অর্থাৎ ভোক্তা পর্যায়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্য হার বর্তমানে প্রতি ঘনমিটার ৯ দশমিক ৮০ টাকা। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প গ্রাহকদের জন্য দাম বৃদ্ধি করা হয়নি। তিনি বলেন, গণপরিবহনের বিষয়টি বিবেচনা করে সিএনজি খাতে শুধু প্রতি ঘনমিটারে ৩ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণীর গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে এখন থেকে মিনিমাম চার্জ প্রত্যাহার করা হয়েছে। সব শিল্প গ্রাহকদের ইবিসি মিটার দেয়া হবে। যাতে করে গ্যাস কে কত ব্যবহার করে সেটা যেন নির্দিষ্ট থাকে। যাতে বিল পরিশোধ সহজ হয়। গ্রাহকদের আর্থিক চাপ যেন বেশি না পড়ে সেজন্য সরকার গ্যাসে প্রতি বছর ৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা বা ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তা তহবিল থেকে ২ হাজার ৪২০ কোটি টাকা প্রদান করা হবে। তিনি বলেন, আমরা যদি সব খরচ ধরি তবে এলএনজি আমদানির খরচ পড়ে সম্পূরক শুল্কসহ প্রতি ঘনমিটার ৬১ দশমিক ১২ টাকা। আমরা নিচ্ছি মাত্র ৯ দশমিক ৮০ টাকা। অর্থাৎ এলএনজি আমদানিতে যেখানে ৬১ দশমিক ১২ টাকা দাম পড়ে, সেখানে নেয়া হচ্ছে ৯ দশমিক ৮০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি ঘনমিটারে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে ৫১ দশমিক ৩২ টাকা। আর সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের কারণে সরকারের ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় বন্ধ হয়ে গেছে। এটি বন্ধ না হলে দেশের আরও উন্নতি করতে পারতাম।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ২০০০ ও ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপের ঘটনা তুলে ধরে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিল ক্লিনটন বাংলাদেশে এসে ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রির জন্য চাপ দেয়। পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারও খালেদা জিয়া ও আমার সঙ্গে গ্যাস বিক্রির একই চাপ দেয়। আমি তাদের স্পষ্ট করে জানাই, আগে আমাদের কত পরিমাণ গ্যাস রয়েছে, দেশের চাহিদা মিটিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ৫০ বছরের গ্যাস রিজার্ভ রেখে যদি উদ্বৃত্ত থাকে তবেই আমি গ্যাস বিক্রি করতে রাজি।

তিনি বলেন, গ্যাস বিক্রিতে রাজি না হলেও খালেদা জিয়া গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসে। নির্বাচনে আমরা বেশি ভোট পেলেও ক্ষমতায় যেতে পারিনি। কারণ আমি রাজনীতি করি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য।

দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় যেতে হবে সেই রাজনীতি আমি করি না। তিনি বলেন, এনার্জি ছাড়া দেশের উন্নয়ন হয় না। এখন দেশের ৯৩ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। আমরা যদি গ্যাস সরবরাহ করতে না পারি তবে দেশের উৎপাদন বন্ধ হবে, রফতানি কমে যাবে, দেশে হাহাকার সৃষ্টি হবে।

যারা এ নিয়ে আন্দোলন বা সমালোচনা করেন তারা কী দেশে এমন পরিস্থিতি হোক সেটাই চান? তিনি বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের পুরো খরচই নেয়া উচিত। কিন্তু আমরা নিচ্ছি না। দেশের জনগণের স্বার্থে ও উন্নয়নে গ্যাস এবং বিদ্যুৎ খাত দুটোতেই বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছি।
ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে গ্যাসের মূল্য বেশি এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে দুই দেশের তুলনামূলক মূল্যের চিত্র সংসদে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি জানান, ভারতসহ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের তুলনায় বাংলাদেশে গ্যাসের মূল্য কম। বাংলাদেশে গৃহস্থালি খাতে যেখানে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের মূল্য ১২ টাকা ৬০ পয়সা, সেখানে ভারতের মূল ৩০ থেকে ৩৭ রুপি।

শিল্পে বাংলাদেশে ১০ টাকা ৭০ পয়সা, ভারতে ৪০ থেকে ৪২ রুপি, সিএনজি খাতে বাংলাদেশে ৪৩ টাকা, ভারতে ৪৪ থেকে ৫৩ রুপি এবং বাণিজ্যিক খাতে বাংলাদেশে ২৩ টাকা, সেখানে ভারতে ৫৮ থেকে ৬৫ রুপি। তবে ভারত থেকে আমাদের দেশে গ্যাসের দাম বেশি হল কীভাবে?

সংসদ নেতা বলেন, আমাদের সরকার প্রতিটি গ্রামকে শহরে পরিণত করতে চায়। আকাশ, রেল, নৌপথ, সড়কপথ সবক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। গত ১০ বছরে আমরা ১০ হাজার চিকিৎসককে নিয়োগ দিয়েছি। নার্সদের শিক্ষার মানও বৃদ্ধি করেছি। চাকরিতে বয়সের সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব কার্যত নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আগের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি নেই।

শিক্ষার কার্যকর পরিবেশ রয়েছে। তিনটি বিসিএস পরীক্ষার ফলাফলের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ২৩ থেকে ২৫ বছর বয়সী পরীক্ষার্থীদের পাসের হার ৪০ দশমিক ৬০ ভাগ, ২৫-২৭ বছর বয়সীদের পাসের হার ৩০ দশমিক ২৯ ভাগ, ২৭-২৯ বছর বয়সীদের পাসের হার ১৩ দশমিক ১৭ ভাগ এবং ২৯ বছরের বেশি বয়সীদের পাসের হার মাত্র ৩ দশমিক ৪৫ ভাগ।এ ক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করা হলে ঘর-সংসার সামলিয়ে আদৌ পরীক্ষায় পাস করতে পারবে কিনা, তাতে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। আর নিয়মিত পড়াশোনা করলে এখন ২৩ বছরের মধ্যে মাস্টার্স পাস করা যায়। সে ক্ষেত্রে ২৩ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত চাকরিতে প্রবেশের সময় থাকে। এরা প্রতিটি বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে, বিশ্বের কোথাও এমন সুযোগ দেয়া হয় না।২১ কার্যদিবস চলার পর শেষ হল সংসদের বাজেট ও চলতি সংসদের তৃতীয় অধিবেশন। সরকারের প্রথম মেয়াদের এ বাজেট অধিবেশন ১১ জুন শুরু হয়। বৃহস্পতিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী রাতে অধিবেশন শেষ-সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আদেশ পড়ে শোনান। এর আগে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ বক্তব্য রাখেন।

এ অধিবেশন শুরুর পর ১৩ জুন চলতি অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন হয়। এরপর মোট ২৬৯ জন সংসদ সদস্য ৫৫ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট বাজেট আলোচনায় অংশ নেন। এর আগে এত এমপি এত সময় ধরে বাজেটের ওপর আলোচনার সুযোগ পাননি। বড় ধরনের কোনো সংশোধনী ছাড়াই ২৯ জুন অর্থবিল-২০১৯ পাস হয়েছে। জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। বাজেট পাস হয় ৩০ জুন।

এ অধিবেশনে সাতটি বিল পাস হয়েছে। এর মধ্যে আলোচিত আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) বিল ২০১৯ পাস হয়। দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়িয়ে ‘আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন-২০১৯’ বিল পাস করেছে সংসদ। এ নিয়ে নবমবারের মতো আইনটির মেয়াদ বাড়ানো হল। বিদ্যমান আইনে চাঁদাবাজি, যান চলাচলে বাধাদানসহ ত্রাস ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির দায়ে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেয়ার বিধান রয়েছে।