Home আন্তর্জাতিক টেক্সাস ও ওহাইওতে বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত ২৯

টেক্সাস ও ওহাইওতে বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত ২৯

593
0
SHARE

গত শনিবার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দেশটির দুই অঙ্গরাজ্যে বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলীতে প্রাণ হারিয়েছে ২৯ জন। টেক্সাসে পুলিশ হামলাকারীকে ধরতে সক্ষম হলেও পুলিশের গুলীতে মারা পড়েছে ওহাইওর বন্দুকধারী । দুই ঘটনায় আহতের সংখ্যা ৪০ জনের বেশি।
ক্যালিফোর্নিয়ার একটি খাদ্য উৎসবে এক ধরনের ঘটনায় তিনজনের প্রাণহানির ছয়দিনের মধ্যে টেক্সাস এবং ওহাইওতে হামলার ঘটনা ঘটল। রয়টার্স, সিবিএস নিউজ।
শনিবার প্রথম হামলা হয় টেক্সাসে। বেলা ১১টার দিকে; যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তের কয়েক মাইল দূরে এল পাসোর সিয়েলো ভিস্তা শপিং মলে ওয়ালমার্টের দোকানে।
হামলাকারী ২১ বছর বয়সী শ্বেতাঙ্গ যুবক এল পাসোর ৬৫০ মাইল পূর্বের শহর অ্যালেনের বাসিন্দা।
হামলার আগের একটি ভিডিওতে ওই যুবককে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল হাতে ওয়ালমার্টের ওই শপিং মলে ঢুকতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে এল পাসোর টেলিভিশন কেটিএসএম।
ঢোকার সময় ওই যুবকের চোখে ছিল চশমা, কানে হেডফোন, পরনে ছিল খাকি রঙের প্যান্ট, গাঢ় রঙের টি-শার্ট।
ব্যস্ত সময়ে ওয়াল মার্টের ওই বিপণিবিতানে শ্বেতাঙ্গ যুবকের গুলীতে ২০ জনের মৃত্যুর সঙ্গে দুই ডজনের মত মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতদের মধ্যে তিনজন এবং আহত ছয়জন মেক্সিকোর নাগরিক বলে জানিয়েছেন দেশটির আন্দ্রে ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প টেক্সাসের ঘটনাকে ‘বেদনাদায়ক’ আর এল পাসোর মেয়র ডি মারগো ‘ভয়ানক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
টেক্সাসের দোকানে হামলার ১৩ ঘণ্টার মাথায় স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে ওহাইও অঙ্গরাজ্যের অরেগনের ডেটনে একটি পানশালার বাইরে একই ধরনের ঘটনা ঘটে। সেখানে এক বন্দুকধারীর গুলতে নিহত হয় নয়জন, আহত ১৬।
ডেটনের ই-ফিফথ স্ট্রিটে নেড পেপারস নামের একটি পানশালার বাইরে রাস্তায় বেশ কয়েকটি গুলীর শব্দের পর আতঙ্কিত লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটতে দেখা গেছে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে আসা কয়েকটি ভিডিওতে। হতাহত কয়েকজনকে হাসপাতালে নিতেও দেখা গেছে।
ঘটনার পরপরই ডেটনের পুলিশ এক টুইটার বার্তায় লোকজনকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়।
গুল শুরুর অল্প সময়ের মধ্যেই ডেটন পুলিশ ই-ফিফথ স্ট্রিট এবং ওয়েইন এভিনিউয়ের আশপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে। এফবি আইর সদস্যরাও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
ডেটন পুলিশের এসিসট্যান্ট চিফ লেফটেন্যান্ট কর্নেল ম্যাট কারপার জানান, ঘটনার পরপরই টহল পুলিশের সদস্যরা দ্রুততার সাথে বন্দুকধারীকে হত্যা করতে সক্ষম হয়।
তবে হামলাকারীর বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।
টেক্সাস, ওহাইওর হামলার আগে গত ২৮ জুলাই ক্যালিফোর্নিয়ার খাদ্য উৎসবে গুলী চালিয়ে তিনজনকে হত্যা করে এক শ্বেতাঙ্গ।
গতকাল রোববার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদনের বরাতে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা।
ওই ট্যাংকারে থাকা সাত নাবিককে আটক করা হয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
“আইআরজিসির নৌবাহিনী পারস্য উপসাগর থেকে একটি বিদেশী তেল ট্যাংকার জব্দ করেছে, এটি কয়েকটি আরব দেশে জ্বালানি পাচার করছিল,” আইআরজিসির কমান্ডার রামেজান জিরাহি এমনটি বলেছেন বলে উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
“ট্যাংকারটি সাত লাখ লিটার জ্বালানি বহন করছিল। এতে সাত জন নাবিক আছেন, তারা বিভিন্ন দেশের নাগরিক, তাদের আটক করা হয়েছে।”
গত মাসে পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালী থেকে সামুদ্রিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে একটি ব্রিটিশ ট্যাংকর জব্দ করে ইরান। এরপর দ্বিতীয় আরেকটি ব্রিটিশ জাহাজেকে সতর্ক করার পর সেটিকে এগিয়ে যাওয়া অনুমতি দেয়।
ভূমধ্যসাগরের জিব্রাল্টার প্রণালীতে ব্রিটিশ নৌবাহিনী একটি ইরানি তেল ট্যাংকার আটক করার এক সপ্তাহ পর ব্রিটিশ ট্যাংকারটি জব্দ করে ইরান। এ নিয়ে পশ্চিমা শক্তিগুলোর সঙ্গে ইরানের উত্তেজনা আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
এর আগে থেকেই ব্রিটেনের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের উত্তেজনা দেশদুটিকে প্রায় যুদ্ধের প্রান্তে দাঁড় করিয়ে রেখেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটে বলেছেন, টেক্সাসের এই ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।
টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “ছুটির এই দিনে একটি স্বাভাবিক দিনের মতো হতে পারত, যেখানে মানুষ ছুটির আমেজে কেনাকাটা করত। কিন্তু দিনটি টেক্সাসের ইতিহাসে একটি ভয়াবহ দিনে পরিণত হল।”
নিহতের সংখ্যা ২০ জন বলে নিশ্চিত করেন গভর্নর।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর জানিয়েছেন, নিহতের মধ্যে তিনজন মেক্সিকান রয়েছে, আহতের মধ্যে রয়েছেন ছয়জন।
এল পাসোর মেয়র ডি মারগো সিএনএনকে বলেন, “এটা একটা ভয়ানক ঘটনা, যা এল পাসোয় ঘটবে বলে আমরা কখনো ভাবিনি। আমার কান্না পাচ্ছে।”
ওই যুবক কেন এই হামলা চালিয়েছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটন।
তদন্ত চলার কথা জানালেও এল পাসোর পুলিশ প্রধান গ্রেগ অ্যালেন ইঙ্গিত করেছেন, বর্ণ কিংবা জাতিগত বিদ্বেষ থেকে এই হামলার ঘটনা ঘটতে পারে।
হামলাকারীকে যুবককে পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়েছে। সোশাল মিডিয়ায় আসা ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ তাকে হাতকড়া পরিয়ে একটি গাড়িতে তুলছে।
হামলার আগের একটি ভিডিওতে ওই যুবককে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল হাতে ওয়ালমার্টের ওই শপিং মলে ঢুকতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে এল পাসোর টেলিভিশন কেটিএসএম।
ঢোকার সময় ওই যুবকের চোখে ছিল চশমা, কানে হেডফোন, তার পরনে ছিল খাকি রঙের প্যান্ট, গায়ে ছিল গাঢ় রঙের টি শার্ট।