Home আইন আদালত ক্যাসিনো আইনসঙ্গত ব্যবসা নয়, এটা করতে দেব না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ক্যাসিনো আইনসঙ্গত ব্যবসা নয়, এটা করতে দেব না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

246
0
SHARE

রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি কিংবা সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি যেই হোক, কাউকেই ক্যাসিনো ব্যবসা করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, ক্যাসিনো আমাদের দেশে আইনসঙ্গত ব্যবসা নয়। যারাই আইনসঙ্গত নয় এমন ব্যবসা করবেন, তাদের সে ব্যবসা করতে দেব না। যেটা অবৈধ ব্যবসা, সেটা চলতে পারে না। রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস উপলক্ষে রোববার এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, অবৈধ ব্যবসায়ী যারা আছেন, তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সে কোনো রাজনৈতিক দলের হোক, প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি হোক কিংবা জনপ্রতিনিধি হোক, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। পর্যায়ক্রমে সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। আইনবহির্ভূত সব ব্যবসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ঘুড়ি ওড়ানো, স্কেটিংসহ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ বছর ‘সাইকেলে ও হেঁটে চলা নিরাপদ করি’- এ স্লোগানকে সামনে রেখে ৫৯টি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হয়। এ উপলক্ষে মানিক মিয়া এভিনিউর এক পাশের রাস্তা সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, নিরাপদ ফুটপাত সৃষ্টিতে (ঢাকার) মেয়ররা ফুটপাত ক্লিয়ার করে দেবেন, আমরা সেখানে আর কাউকে বসতে দেব না। তবে বিষয়টি একবারে নয়, পর্যায়ক্রমে করার আহ্বান জানান তিনি। ব্যক্তিগত গাড়ির বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ব্যক্তিগত গাড়ি চালানো অনেক বিড়ম্বনা। গাড়ি কেনার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। কিন্তু মেট্রোরেলসহ মেগা প্রকল্পগুলো চালু হলে এ গাড়ির আর প্রয়োজন হবে না। বাস মালিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মন্ত্রী বলেন, আপনারা ভালো বাস চালু করেন। সুন্দর বাস সার্ভিসের বড় অভাব। বাস মালিকদের বলব চাঁদাবাজদের চাঁদা কমিয়ে বাসের দিকে খেয়াল দেন। ভালো বাস নামান, তাহলে ব্যক্তিগত গাড়ি কমে আসবে।

যানজটমুক্ত শহর গড়তে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, নগরবাসী স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করুক, এটা আমরা সবাই চাই। আমরাও চেষ্টা চালাচ্ছি। এই শহরে উচ্চবিত্ত থেকে নিুবিত্ত সব শ্রেণির লোকের বাস। এমন অনেক পরিবার আছে- সদস্য তিনজন, গাড়ি ৫টি। বাসার কাজের লোকও গাড়ি ব্যবহার করে। এই যে ব্যক্তিগত গাড়ির অপব্যবহার- এটা রোধ করতে হবে।

মেয়র বলেন, আজকের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ফুটপাত দখলমুক্ত করতে চেষ্টা করছি। বিআরটিএ যদি নতুন গাড়ি রেজিস্ট্রেশন দেয়ার ক্ষেত্রে কঠোর হয়, যার একটি গাড়ি আছে সে যাতে দু’টি বা তিনটি গাড়ি না রাখতে পারে সেদিকে দৃষ্টি দেন, তাহলে অনেক উপকারে আসবে। নগরবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা একটা অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন তারা চাইলে ১০ জন একটা গাড়ি শেয়ার করে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে পারেন। এতে অর্থের সাশ্রয় হবে, যানজটও কমবে। আর বিআরটিএ প্রয়োজনে নতুন রুলস-রেগুলেশন করে ব্যক্তিগত গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টি দেখতে পারেন।

সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান বলেন, ব্যক্তিগত গাড়ি বাড়লে যানজট আরও বাড়বে। ইতিমধ্যে মেট্রোরেল, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট, বাস রুট ফ্রাঞ্চাইজেশন, সড়ক অবকাঠামো নির্মাণসহ বিভিন্ন ফুটপাত নির্মাণ অব্যাহত আছে। আমরা পথচারী এবং সাইকেলবান্ধব শহর গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে ‘ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টে’র কর্মসূচি ব্যবস্থাপক মারুফ হোসেনের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মজুমদার, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম রওশনারা প্রমুখ।