Home আন্তর্জাতিক ‘সেরা ও সুন্দর অস্ত্র পাঠাব’, ইরানকে ফের হুমকি দিলেন ট্রাম্প

‘সেরা ও সুন্দর অস্ত্র পাঠাব’, ইরানকে ফের হুমকি দিলেন ট্রাম্প

590
0
SHARE

ইরাকে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার কাসেম সোলাইমানির হত্যাকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ বেধে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এরই মধ্যে ইরানকে ফের হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক টুইট বার্তায় ইরানকে হুমকি দিয়ে ট্রাম্প লিখেন, হামলা হওয়ায় প্রত্যাঘাত। আর যেন হামলা না করে।

না হলে তুমুল হামলা হবে। এমন হামলা করব, ভাবতেও পারবে না।
ট্রাম্প আরও লিখেন, সামরিক খাতে বরাদ্দ ২ ট্রিলিয়ন ডলার।

আমাদের হাতেই অত্যাধুনিক সামরিক অস্ত্র। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অত্যাধুনিক অস্ত্র। সামরিক শক্তিতে বিশ্বে আমরাই সেরা। ইরান হামলা করলে প্রত্যাঘাতে সেরা ও ‘সুন্দর’ অস্ত্র পাঠাব।
এর আগে টুইট করে ট্রাম্প লিখেছিলেন, ‘ইরানের ৫২ জায়গা টার্গেট।

খুব তাড়াতাড়ি জবাব পাবে ইরান। ’
প্রবল উত্তেজনা ছিলই। মার্কিন ড্রোন হামলায় সোলাইমানির মৃত্যুর পর এখন যুক্তরাষ্ট্র-ইরান যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যার প্রভাব পড়তে পারে গোটা পশ্চিম এশিয়ায়। চাপে পড়ে মিত্র দেশগুলোকে পাশে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তবে ইতিমধ্যেই যুদ্ধের জ্যন প্রায় প্রস্তুত ইরান। আর তার ইঙ্গিত মসজিদের মাথায় উড়তে থাকা লাল পতাকা। সম্প্রতি ইরানের জামকরন মসজিদের মাথায় লাল পতাকা উড়তে দেখা গেল। এর অর্থ, দেশের জনগণকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে বলা। এমনিতে জামকরন মসজিদের মাথায় ধর্মীয় পতাকা উড়তে দেখা যায়। কিন্তু মসজিদের চূড়ায় লাল পতাকা লাগিয়ে দেয়ার অর্থ যুদ্ধ ঘোষণা। এ ঘটনা প্রথম নয়, এর আগে ইরান ও ইরাকের মধ্যে যুদ্ধকালে পরিস্থিতিতেও মসজিদের চূড়ায় লাল পতাকা উড়তে দেখা গিয়েছিল।

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই, ট্রাম্পের নির্দেশে মিত্র দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে কথা বলেছেন মাইক পম্পেও। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বাজওয়ার সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন পম্পেও। ইরাক ও আফগান প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও কথা বলেছেন। কথা বলেছেন সৌদি ও আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে।

অন্যদিকে, চুপ করে বসে নেই ইরানও। শনিবারই রাজধানী তেহরানে সোলাইমানির মেয়ের সঙ্গে দেখা করেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। তার বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়ারও আশ্বাস দেন।

এদিনই সোলাইমানির কফিনবন্দি মরদেহ নিয়ে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মিছিল করেন তার সমর্থকরা। গাজায় মার্কিন বিরোধিতায় মিছিল করেন ফিলিস্তিনিরাও। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে, উপসাগীয় যুদ্ধের পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব।