Home অর্থ-বাণিজ্য এ বছর রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

এ বছর রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

418
0
SHARE

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আমাদের বাজারের পাশাপাশি ভারতের বাজারেও ইতোমধ্যে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। এ জন্য এ বছর রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। প্রয়োজনে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক কমানো হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর নিজ দফতরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বেশ কয়েকটি টিম আমদানির স্থানগুলোতে যেমন- বেনাপোল ও হিলিতে যাবে। সেখানে দেখবে আমদানির কী অবস্থা। একটু দাম বেড়েছে বাজারে। বন্যার কারণে সরবরাহে সমস্যা হয়েছে। আমরা খুব চেষ্টা করছি। টিসিবি বড় পরিসরে নামছে। আগামী ১৩ তারিখ থেকে ন্যায্যমূল্যে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করবে। আমরা সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করব। আমরা ফুল মনিটর করছি, দেখা যাক।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছরের পেঁয়াজ আর এ বছরের মধ্যে পার্থক্য হলো গত বছর ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছিল। এবার কিন্তু বন্ধ করেনি। গত বছর বন্ধ করার পরে আমাদের এখানকার ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিয়েছে। ভারতেও তখন ১৫০ রুপিতে (কেজিপ্রতি) পেঁয়াজ বিক্রি করেছিল। এ অঞ্চলে সমস্যা হয়েছিল তবে আমাদের সাফারিং বেশি হয়েছে। এর মধ্যে ভালো দিক হলো ভারত বন্ধ করে দেয়ার ফলে আমরা নতুন বাজার থেকে আমদানি করতে শিখেছি।’
তিনি বলেন, ‘তুরস্ক, মিসর, ইন্দোনেশিয়া এসব দেশ থেকে গতবার পেঁয়াজ আসার কারণে এবারও আমাদের লোকজনের যোগাযোগ ভালো আছে। আমরা তুরস্ক থেকে আমদানির জন্য টেন্ডারও করেছি টিসিবির মাধ্যমে। পেঁয়াজ আমদানিতে ট্যাক্স কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি। আশা করছি, ৫ শতাংশ ট্যাক্স প্রত্যাহার করা হবে।’
‘কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, এ বছর পেঁয়াজ উৎপাদন বেশি হয়েছে তা হলে এখনই সংকট কেন?’- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বেশি হওয়া মানেই আমাদের ফুল টার্গেট হয়েছে তা কিন্তু নয়। আমাদের ঘাটতি রয়েছে ৬-৭ লাখ টন। আমাদের উৎপাদন বেড়েছে। ফলে কৃষক কিছু দামও পেয়েছে। তার পরও আমাদের ঘাটতি রয়েছে ৫ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টন। এক বা দুই বছরে আমরা এটা কাভার করতে পারব না। পাশাপাশি আমাদের চাহিদা বাড়ছে। ফলে আমাদের নির্ভর করতে হচ্ছে বাইরের বাজারের ওপর।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘আমাদের একটি ছোট সমস্যা হয়েছে, মিয়ানমার থেকে আমরা যে পরিমাণ গত ক্রাইসিসে পেয়েছি সেটি ধীরগতি লক্ষ করা যাচ্ছে কোভিডের কারণে। গতকালকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমাদের সচিবের কথা হয়েছে। আমরা সব পথ খুলে দিতে চাই- যতদ্রুত ও বেশি পেঁয়াজ আমদানি করা যায়। আমাদের তরফ থেকে সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে।’