Home বিনোদন সুশান্তের মৃত্যু : মাদককাণ্ডে ২৪ ঘন্টায় ৬ জন গ্রেফতার

সুশান্তের মৃত্যু : মাদককাণ্ডে ২৪ ঘন্টায় ৬ জন গ্রেফতার

SHARE

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলার সঙ্গে জড়িত মাদককাণ্ডের তদন্ত খতিয়ে দেখছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। আর এই মামলায় শনিবার মুম্বই ও গোয়ার একাধিক জায়গায় রেইড করল এনসিবি। এদিন মাদক পাচারচক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি। শনিবার এনসিবির জালে আসে ২৩ বছরের করম জিত সিং আনন্দ ওরফে কেজে। বান্দ্রার এই মাদকচক্রীর কাছ থেকে মারিজুয়ানা এবং হাশিশ বাজেয়াপ্ত করেছে এনসিবি।

এনসিবি আধিকারিকদের মতে, বর্তমানে যে মাদকচক্রের তদন্ত চালাচ্ছে এনসিবি, তার অন্যতম পাণ্ডা এই কেজে। এনসিবির যৌথ ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে করম জিত সিং আনন্দের গ্রেফতারির নিশ্চিত করেছেন। তবে ঠিক কী পরিমাণ মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কেজের কাছ থেকে তা নিয়ে কিছু জানায়নি এনসিবি।

পরবর্তীতে এনসিবি আধিকারিকরা দাদার থেকে ৫০০ গ্রাম মারিজুয়ানা সহ গ্রেফতার করে ডোয়েন অ্যান্টনি ফার্নান্দেজ এবং আরও দু’জনকে। পোওয়াই থেকে এনসিবির হাতে গ্রেফতার হয় ২৯ বথরের অঙ্কুশ আরেনজা, এই অভিযুক্তর কাছে ৪২ গ্রাম হাশিস এবং নগদ ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে খবর, আরেনজা নিষিদ্ধ মাদক সংগ্রহ করত করম জিতের কাছ থেকে এবং সেটি সাপ্লাই করত আগেই এনসিবির হাতে গ্রেফতার অনুজ কেশওয়ানিকে।

‘গোয়া থেকে ক্রিস কোস্টা নামের একজনকে এই মামলায় গ্রেফতার করেছে এনসিবি, তদন্ত জারি রয়েছে’, জানিয়েছেন এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর কেপিএস মালহোত্রা।

শনিবার দিনভর বান্দ্রা, খার, লোখান্ডওয়ালা, পোওয়াইয়ের নানান জায়গায় চলে এনসিবির হানা।

এখনও পর্যন্ত সবমিলিয়ে সুশান্ত মৃত্যু মামলার সঙ্গে জড়িত মাদককাণ্ডে ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি। সুশান্তের মৃত্যু মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী, তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী, সুশান্তের ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা, পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্তসহ মাদক পাচারকারী জায়েদ ভিলেট্রা, আবদুল বাসিত পরিহার, কাইজান ইব্রাহিম, করন আরোরা, আব্বাস লাখানি এবং অনুজ কেশওয়ানিকে আগেই গ্রেফতার করেছে এনসিবি।

রিয়া, শৌভিক, মিরান্ডা, সাওয়ান্ত, ভিলেন্ট্রা, এবং পারিহার আপতত রয়েছে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে, শুক্রবার এনডিপিএস আদালতে এই ছয় অভিযুক্তর জামিনের আবেদন না-মঞ্জুর হয়ে যায়। অন্যদিকে অরোরা, লাখানি এবং ইব্রাহিম জামিনে মুক্তি পেয়ে গিয়েছে। অনুজ কেশওয়ানি ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনসিবির হেফাজতে রয়েছে।