Home জাতীয় আহমদ শফীর মরদেহ হাটহাজারী মাদ্রাসায়

আহমদ শফীর মরদেহ হাটহাজারী মাদ্রাসায়

SHARE

হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মরদেহ চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় এসে পৌঁছেছে।

আজ শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৯টায় মরদেহ সেখানে নেওয়া হয়। বাদ জোহর তার জানাজা হবে।

মাদ্রাসার শূরা কমিটির সদস্য আল্লামা নোমান ফয়জী বলেন, ‘সকাল পৌনে ৯টার দিকে উনার (আহমদ শফী) মরদেহ হাটহাজারী মাদ্রাসায় নিয়ে আসা হয়েছে। কবর খোড়ার প্রস্তুতিও শেষ। বাদ জোহর মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে মাদ্রাসার কবরস্থানে লাশ দাফন করা হবে।’

চট্টগ্রামে ‘বড় হুজুর’ নামে পরিচিত আহমদ শফীকে শেষবারের মতো দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চট্টগ্রামে আসছেন তার অনুসারীরা।

যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক রাখা হয়েছে। পুলিশ, র‌্যাবের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যদের।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাটহাজারী, রাঙ্গুনিয়া ও পটিয়া উপজেলায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সাতজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

হাটহাজারীতে দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সার্বিকভাবে ভালো আছে। বিভিন্ন স্থান থেকে তার অনুসারীরা হাটহাজারীতে সমাগম হচ্ছে। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় হাটহাজারীতে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন আছে।’

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত মাদ্রাসার মজলিসে শূরার বৈঠকে শাহ আহমদ শফী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। এর পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই দিন রাত ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি অ্যাম্বুলেন্সে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে তাকে ঢাকার আসগর আলী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন মৃত্যু হয় তার।

আহমদ শফী হাটহাজারীর ‘বড় মাদ্রাসা’ হিসেবে পরিচিত আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার মহাপরিচালকের (মুহতামিম) দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন সেই ১৯৮৬ সাল থেকে।

দেওবন্দের পাঠ্যসূচিতে পরিচালিত দেশের অন্যতম পুরনো এ কওমি মাদ্রাসার শীর্ষ ব্যক্তি হিসেবে তিনি বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন।

কওমি মাদ্রাসার নেতৃত্বের ওপর ভর করেই তিনি ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্দোলন চালিয়ে আসা হেফাজতে ইসলামের আমিরের দায়িত্ব পালন করছিলেন।