Home জাতীয় চট্টগ্রামের ৪ উপজেলায় ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

চট্টগ্রামের ৪ উপজেলায় ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

SHARE

হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নামাজে জানাজা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে চট্টগ্রামের ৪ উপজেলায় ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

আজ শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে জেলার হাটহাজারী, পটিয়া, রাঙ্গুনিয়া এবং ফটিকছড়িতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিজিবি সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. বদিউল আলম।

তিনি জানান, হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যু পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও তার জানাজা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে শনিবার সকাল থেকে চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর মধ্যে হাটহাজারীতে ৪ প্লাটুন, পটিয়ায় ২, রাঙ্গুনিয়ায় ২ এবং ফটিকছড়িতে ২ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন থাকবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করবে।

এর আগে, শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর আসগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

হাটহাজারী মাদরাসার শূরা কমিটি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জোহরের নামাজের পর দুপুর ২টায় হাটহাজারী মাদরাসা মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় ইমামতি করবেন তার সন্তান আনাস মাদানী। আল্লামা শফীর মরদেহ ফজর নামাজের পর থেকে জোহর পর্যন্ত হাটহাজারী মাদরাসার কনযুদ্দাকায়েক শ্রেণিকক্ষে মরহুমের মরদেহ সকলের দেখার জন্য রাখার সিদ্ধান্ত রয়েছে। জানাজা শেষে মাদরাসা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বায়তুল আতিক জামে মসজিদের সামনের কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে।

এদিকে, বার্ধক্যজনিত কারণে অনেক দিন ধরে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী। গত কয়েক বছরে তিনি বেশ কয়েকবার দেশ ও দেশের বাইরের হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) অসুস্থ হয়ে পড়েন আল্লামা শাহ আহমদ শফী। রাত ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়া হয়।

শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা আল্লামা শফীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে শুক্রবার সন্ধ্যার আগে ঢাকায় এনে আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। প্রায় ১০৫ বছর বয়সী আল্লামা আহমদ শফী দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।