Home আন্তর্জাতিক এপ্রিল ফুলের রসিকতায় বিশ্বখ্যাত গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি

এপ্রিল ফুলের রসিকতায় বিশ্বখ্যাত গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি

SHARE

চলতি সপ্তাহে বিশ্বখ্যাত জার্মান গাড়ি ভক্সওয়াগনের নাম পরিবর্তন হচ্ছে বলে জানা গেছিল। কিন্তু সব মিথ্যাকে উড়িয়ে দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা দেয় যে ভক্সওয়াগনের নাম পরিবর্তন হচ্ছে না।

সোমবার (২৯ মার্চ) কোম্পানিটির ভুয়া সংবাদ প্রকাশের পর মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) সাংবাদিকদের কাছে একটি গণ-ইমেইলে আবার কোম্পানির মিথ্যা বিবৃতিটি প্রচার করা হয়। যার ফলস্বরূপ অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে নাম পরিবর্তনের সংবাদটি প্রকাশিত হয়।

এই গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ওয়েবসাইটে ঘোষণা দেয় ভক্সওয়াগনের নাম পরিবর্তন করে ‘ভল্টস ওয়াগন’ রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া চলতি সপ্তাহে গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি এমনকি একটি নতুন ভল্টস ওয়াগন টুইটার হ্যান্ডেল চালু করা হচ্ছে বলে জানানো হয়।

প্রথমে বলা হয়, ভিডাব্লিউকে বৈদ্যুতিক যানবাহনে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসাবে গাড়ির নাম রিব্র্যান্ডিং করা হচ্ছে। মার্কিন বস স্কট কেওগ এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছিলেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কেওগ বলেন ‘আমরা একটি টি এর জন্য ‘কে’ কে পরিবর্তন করছি। তবে চালক এবং সাধারণ মানুষের জন্য সেরা যানবাহন তৈরি করার প্রতিশ্রুতি আমরা পরিবর্তন করছি না।

ভক্সওয়াগন ‘জনগণের গাড়ি’ অতীতের দেয়া এই প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন এই নাম পরিবর্তন। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস জনগণের জন্য বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণই হবে আমাদের ভবিষ্যৎ।

গত বুধবার কর্তৃপক্ষ অফিসিয়াল প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নাম পরিবর্তনের বিষয়টি আসলে একটি এপ্রিল ফুলের রসিকতা ছিল। ভক্সওয়াগনের মতো একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির ইচ্ছাকৃত জাল সংবাদ প্রকাশের ঘটনাটি ২০১৫ সালের ডিজেল নিঃসরণ কেলেঙ্কারির পর ভক্সওয়াগনের ইমেজ পুনরুদ্ধারের প্রয়াসের সঙ্গে মিলে যায়।

ভুয়া সংবাদ প্রকাশের পর মঙ্গলবার কোম্পানির শেয়ারের দাম প্রায় ৫ শতাংশ বেড়ে যায়। জাল প্রেস রিলিজ প্রকাশের কারণে ভক্সওয়াগেনকে মার্কিন সিকিউরিটিজ রেগুলেটরদের মুখোমুখি হতে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্পোরেট ও সিকিউরিটিজ আইনের শিক্ষক জেমস কক্স বলেন, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের এই জাতীয় ভুল তথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, যা শেয়ারের দামকে বিকৃত করতে পারে।

তিনি বলেন, কোনটা অনুমোদনযোগ্য বা জায়েজ বা কি জায়েজ নয় সে সম্পর্কে একটা পরিষ্কার নির্দেশনা থাকা উচিত।