Home আন্তর্জাতিক যেভাবে হামাসের উত্থান

যেভাবে হামাসের উত্থান

53
0
SHARE

১৯৮০-এর দশকে ইয়াসির আরাফাতের পেলেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) এর বিরোধিতায় হামাসের জন্ম। পিএলও’র বিরোধী শক্তি হিসেবে দাঁড় করাতে শুরুর দিকে ইসরায়েল সরকার হামাসকে অর্থ সহায়তা দিয়েছিল বলে অনেকক্ষেত্রে দাবি করা হয়। তবে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠায় এমন কোনো ধরনের ভূমিকার কথা বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে সংশ্লিষ্টরা।

পিএলও’র মতো হামাস ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকারে বিশ্বাস করে না। তাদের প্রতীকে রয়েছে জেরুজালেমের ‘ডোম অব দ্য রক’। ইসরায়েল, গাজা ও পশ্চিম তীরকে একক ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হিসেবে তারা বিবেচনা করে।

১৯৯৩ সালে ইয়াসির আরাফাত অসলো চুক্তির অধীনে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি স্থাপন করেন, যার মধ্য দিয়ে ১৯৮৭ সালে শুরু হওয়া প্রথম ইন্তিফাদার অবসান হয়। হামাস এই শান্তি প্রক্রিয়া প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েলে হামলা অব্যাহত রাখে।

২০০৬ সালের গাজার সাধারণ নির্বাচনে হামাস পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। এরপর থেকে মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বে ফাতাহ-এর অধীনে রয়েছে পশ্চিম তীর আর গাজার নিয়ন্ত্রণ হামাসের হাতে। ২০০৮-০৯, ২০১২ ও ২০১৪ সালে ইসরায়েলি সেনার সঙ্গে হামাসের তুমুল লড়াই চলে।

১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করে। ২০০৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নও তাদেরকে সন্ত্রাসী তালিকায় রাখে। হামাস এই বিষয়ে আদালতে চ্যালেঞ্জ করে। তবে আদালত তাদের আবেদন বাতিল করে। যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াও হামাসকে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করেছে।

হামাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সহযোগী কাতার। দেশটির আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আল-থানি প্রথম রাষ্ট্রনেতা, যিনি ২০১২ সালে হামাস সরকারের সঙ্গে দেখা করেন। এখন পর্যন্ত দেশটি হামাসকে ১৮০ কোটি ডলার দিয়েছে। হামাসের প্রতি তুরস্কেরও সমর্থন রয়েছে। সংগঠনটির নেতা ইসমাইল হানিয়ের পক্ষে রাজনৈতিক অবস্থান রয়েছে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ এরদোগানের। এ ছাড়া বিভিন্ন উদ্যোগ ও ফাউন্ডেশনের সহযোগিতাও পায় তারা

সবশেষ সংঘাতেও ইসরায়েলের উদ্দেশে প্রতিদিন শতাধিক রকেট ছুঁড়েছে হামাস। দীর্ঘদিন হামাস রকেটের জন্য ইরানের উপর নির্ভরশীল ছিল। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সুদান ও মিশর হয়ে সেখান থেকে অস্ত্র চোরাচালান হতো। তবে বর্তমানে গাজাতেই হামাস রকেট বানাচ্ছে বলেও ধারণা করা হয়।
খবর ডয়েচে ভেলে