Home জাতীয় ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঐকবদ্ধ্য হয়ে কাজ করতে হবে: সমবায়মন্ত্রী

ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঐকবদ্ধ্য হয়ে কাজ করতে হবে: সমবায়মন্ত্রী

88
0
SHARE

ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে নগরবাসী এবং সিটি কর্পোরেশনকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম ।

এডিসসহ অন্যান্য মশা থেকে মুক্ত থাকতে হলে যেমন সিটি কর্পোরেশন তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে তেমনি নগরবাসীকেও তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। শতভাগ সফলতার জন্য উভয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আবশ্যক বলেও জানান তিনি।

তিনি আজ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে মশক নিধনে চিরুনি অভিযানের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, নাগরিকরা যদি তাদের স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন না করে। সিটি কর্পোরেশন একক প্রচেষ্টায় সকল সমস্যার সমাধান করে নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে পারবে না। আমরা নিজেরাই যদি অসচেতন হয়ে মশার প্রজনন করি তাহলে সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে কি করে সম্ভব মশামুক্ত নগর উপহার দেয়া? তাই সবাই মিলে একত্রে কাজ না করলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, মানুষ যদি নিজের বাড়ির আঙিনা, ফুলের টব, এয়ার কন্ডিশন বিশেষ করে নির্মাণাধীন বা পরিত্যক্ত ভবনের বেসমেন্ট, ছাদে পানি জমে না রাখে অথবা রাখলেও তিনদিন পরপর পরিস্কার বা জমা পানিতে অল্প পরিমাণ কেরোসিন দেয় তাহলে এডিস মশা প্রজননের সম্ভাবনা থাকে না। কিন্তু নির্মাণাধীন ভবনে অনেকেই তাদের স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করেন না।

তিনি বলেন, উভয় সিটি কর্পোরেশনে দশ জন করে ম্যজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যেখানে জমে থাকা পানি পাবে, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে। সরকারি-বেসরকারি যে প্রতিষ্ঠানই ডেঙ্গু প্রজননে ভূমিকা রাখবে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কাউন্সিলর নেতৃত্বে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সরকারি কর্মকর্তা শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, এনজিও কর্মীকে নিয়ে কমিটি করে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডকে দশটি সাব জোনে ভাগ করে একত্রে কাজ করায় গত বছর সাফল্য এসেছে উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, মেয়র-কাউন্সিলরা যখন আন্তরিকতার সাথে কাজ করবে তখন স্বাভাবিকভাবেই কমিউনিটি এবং নগরবাসী স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করবে। সবক্ষেত্রে জনসম্পৃক্ততা করতে পারলে কোনো চ্যালেঞ্জই চ্যালেঞ্জ মনে হবে না।

ঢাকার উভয় মেয়র শহরবাসীকে মশামুক্ত রাখতে আন্তরিকভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি জানান, মন্ত্রণালয় থেকে সিটি করপোরেশনকে পর্যাপ্ত লোকবল, কীটনাশক, ফগিং মেশিন, প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য মেজিস্ট্রেট দেয়া হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, শুধু উত্তর সিটি কর্পোরেশন নয়, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনেও অভিযান শুরু হয়েছে। রাজধানীতে এডিস মশা এবং ডেঙ্গু রোগী কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সে কারণে জোরালোভাবে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। শুধু রাজধানী নয় সকল সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদ অর্থা প্রত্যন্ত গ্রামকে অর্ন্তভূক্ত করে ইন্টিগ্রেটর ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট-গাইডলাইন অনুযায়ী কার্যক্রম চালানোর আহবান জানান।

তাজুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু এখন পর্যন্ত আতঙ্কিত হওয়ার মত অবস্থায় আসেনি। এডিস মশা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অল্প সংখ্যক ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু মারাত্মক রুপ নিলে আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তাই আজকে আমি, মেয়র, কাউন্সিলর, গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গসহ মাঠে নেমে অভিযান শুরু করেছি।

ওয়াসা থেকে দুই সিটি কর্পোরেশনের নিকট খাল হস্তান্তর করার পর দীর্ঘ সময় ধরে জলাবদ্ধ ও দখল থেকে মুক্তির মাধ্যমে সুফল লক্ষ্য করা যাচ্ছে জানিয়ে তিনি খাল-জলাশয়, ড্রেন, কালভার্ট পরিস্কার করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। এসময় যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা না ফেলার জন্য নগরবাসীকে অনুরোধ করেন মন্ত্রী।