Home জাতীয় মোবাইল ফোনে ফল পাওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : শিক্ষামন্ত্রী

মোবাইল ফোনে ফল পাওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : শিক্ষামন্ত্রী

SHARE

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। গতবারের মতো এবারও সম্পূর্ণ পেপারলেস ফল প্রকাশিত হচ্ছে। কোভিড-১৯ এর কারণে ফল প্রকাশের দিনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে থেকে সরাসরি মোবাইল ফোনে ফল পাওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফল প্রকাশের দিনে কোনো ধরনের সমাবেশ বা উৎসব না করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বোর্ডসমূহ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে পরীক্ষার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ক্রমশ উন্নতির ধারা অব্যাহত রয়েছে।

বক্তব্যের শেষে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠান ও ফল প্রকাশে আন্তরিক সহযোগিতার জন্য শিক্ষামন্ত্রী সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি পরীক্ষায় কৃতকার্য পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের অভিনন্দন জানান।

যারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি তাদের হতাশ হওয়ার কারণ নেই জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করব, তারা নব উদ্যমে পূর্ণ প্রস্তুতিতে আগামীতে পরীক্ষা দিয়ে সফলকাম হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে আয়োজন করা হয়েছে। সে কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে আয়োজন করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, আগামী বছরের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা যাতে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়া হয় সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এবং পাশের হার বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার বিশেষ পরিস্থিতির কারণে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। বাকি বিষয়গুলোর মূল্যায়ন অষ্টম শ্রেণির জেএসসি পরীক্ষার ওপর করা হয়েছে। সে কারণে হয়তো দুই সূচকে পাসের হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে শিক্ষার মান বেড়ে গেছে তা বলা যাবে না।

তবে আগের চাইতে শিক্ষার মান কিছুটা বেড়েছে। এটি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রায় নিয়ে যেতে আমাদের প্রচেষ্টা চলছে বলেও জানান ডা. দীপু মনি।