Home জাতীয় ঢাকা দখল করতে এলে আ.লীগ বসে থাকবে না : কাদের

ঢাকা দখল করতে এলে আ.লীগ বসে থাকবে না : কাদের

SHARE

বিএনপি আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা দখল করতে এলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বসে থাকবে না বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ না করে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাওয়ার পেছনে দলটির দুরভিসন্ধি আছে বলেও মনে করেন তিনি।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে না চাওয়ার সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ফখরুলের পছন্দ না। ফখরুলের কেন পছন্দ না? মির্জা ফখরুল স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করেন না। তাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান তার পছন্দ না।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পল্টনের ৩৫ হাজার স্কয়ার ফিট তাদের জন্য নিরাপদ! কেন নিরাপদ? আমরা জানি। আগুন নিয়ে আসবেন, লাঠি নিয়ে আসবেন, বোমা নিয়ে আসবেন, এজন্য আপনাদের জন্য এটা নিরাপদ।’
কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব, আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খাবো! আপনারা ঢাকা দখল করবেন! হায়রে আল্লাহ! কত বড় সাহস! এখন কামাল সাহেবও নাচে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ফখরুল সাহেব আওয়ামী লীগ পল্টনকে ভয় পায় না। আওয়ামী লীগ ভয় পায় আপনাদের আগুন সন্ত্রাস, লাঠি নিয়ে খেলাধুলা। সেই বদনাম তো আপনাদের আছে। ওখানে (পল্টনে) সব মজুদ করবে। এরপর সারাদেশ থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা হান্ডি পাতিল, শীতের কাপড়, কম্বল সাথে মশার কয়েল নিয়ে তাঁবু করেছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কেন? আমরা তো গাড়ি বন্ধ করিনি। আমি অনুরোধ করেছি, পরিবহন মালিকদের। তারা বলেছে তারা বন্ধ করবে না। তাহলে ভয় কিসের?’

ড. কামাল হোসেনকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পান না। যদি সাহস থাকে, কামাল হোসেন সাহেব, আমি চ্যালেঞ্জ করছি, কোথায় অর্থপাচার করেছে আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা, কোথায় অর্থপাচার করেছেন শেখ হাসিনা, এই অপবাদ কেন দিচ্ছেন আপনি? কাদের হাতকে শক্তি দিতে চাচ্ছেন?’
ড. কামালের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘গণফোরাম, মশারির মধ্যে আরেক মশারি। গতবার ঐক্যজোট, সংলাপ। পরে দেখা গেছে জগা খিচুড়ি।’
কাদের বলেন, ‘২০০৮ সালে তিনি (ড. কামাল) পালালেন। তিনি আর এলেন না। আসবেন কীভাবে? আমেরিকায় ধরা খেলেন মানিলন্ডারিংয়ে। আসবেন কীভাবে?’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংবিধান পরিবর্তন হওয়ার আর সুযোগ নেই। সংবিধানকে অনেক কচুকাটা করেছেন।’
১০ ডিসেম্বরের পর বিএনপি কী করতে পারে জানিয়ে কাদের বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর যখন চলে যাবে, জানি অবরোধ দেবেন, জানি ধর্মঘট দেবেন। জানি আবারও আগুন সন্ত্রাস করবেন। আমরা কি চুপ করে বসে থাকব?’
বিএনপির যেকোনো আয়োজন অনেক গণমাধ্যমে বড় করে তুলে ধরা হয়৷ তবে আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে সেটা করা হয় না বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের ডিউটা চাই। আমার ন্যায্যটা আমি চাই।’
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি, মহানগর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি একসঙ্গে হবে বলে জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি আবাসিক হল, সকল অনুষদ ও ইনস্টিটিউটের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।