Home জাতীয় পাবর্ত্য চট্টগ্রামে নির্দিষ্ট কোন জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছেনা : র‌্যাব

পাবর্ত্য চট্টগ্রামে নির্দিষ্ট কোন জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছেনা : র‌্যাব

31
0
SHARE

পার্বত্য চট্টগ্রামের চলমান অভিযান নির্দিষ্ট কোন জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পরিচালিত হচ্ছেনা, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কিছু সন্ত্রাসী ও জঙ্গীদের বিরুদ্ধে যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের আইন ও গণ মাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন।
আ বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের প্রেসব্রিফিংকালে খন্দকার আল মঈন একথা বলেন।
তিনি বলেন, নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র পাহাড়ী দুর্গম এলাকায় প্রশিক্ষণরত অবস্থায় (১১ জানুয়ারি) ৫ জঙ্গী সদস্যকে বান্দরবানের থানচি ও রোয়াংছড়ি থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তারই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সরকারি সংস্থা আইনশৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় র‌্যাব ফোর্সেস নব্য জঙ্গী সংগঠনের প্রশিক্ষণরত ৫৫ জন জঙ্গী এবং তাদের আশ্রয় প্রশ্রয় প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রেখেছে।
গ্রেফতারকৃত পাঁচ জঙ্গী হলেন নোয়াখালী জেলার, সোনাইমুড়ি থানার, মুকিল্লা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে নিজামুদ্দিন হিরন ওরফে ইউসুফ (৩০), কুমিল্লা জেলার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সালেহ আহমেদ ওরফে সাইহা (২৭), সিলেট জেলার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ সাদিকুর রহমান সুমন ওরফে ফারকুন (৩০), কুমিল্লা জেলার মৃত শফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ বাইজিদ ইসলাম ওরফে মুয়াজ ওরফে বাইরু(২১) কুমিল্লা জেলার মোঃ মুজিবুর রহমান এর ছেলে ইমরান বিন রহমান শিথিল (১৭) গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ইমরান বিন রহমান শিথিল কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ হওয়া ৮ জন তরুনের একজন এবং সাদিকুর রহমান সিলেট হতে নিখোঁজ হওয়া ৪ তরুনের একজন। গ্রেফতারকৃতরা সবাই নিখোঁজ ৫৫ জনের তালিকাভুক্ত ছিল বলে জানায় র‌্যাব।
গ্রেফতারকৃত সালেহ আহমেদ, সাদিকুর রহমান এবং শিথিল কে থানচি উপজেলার দুর্গম এলাকা থেকে এবং বায়েজিদ ওরফে বাইরু, নিজামউদ্দিন হিরন ওরফে বাপুয়ালকে রোয়াংছড়ি উপজেলার দুর্গম এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আল মঈন আরো জানান, কেএনএফ প্রধান নাথান বম এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে দুর্গম এলাকায় কেএনএফকে মাসিক তিন থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নতুন জঙ্গী সংগঠন “জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া” সদস্যদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এ যাবৎ বান্দরবানে ১২ জন জঙ্গী আর বিভিন্ন সময় ১৪ জন কেএনএফ সক্রিয় নেতা ও সদস্যকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জাননে এই র‌্যাব কর্মকর্তা। তিনি বলেন কুকিচিন এর সশস্ত্র সদস্য সংখ্যা দুশতাধিক হতে পারে। এই অভিযানে কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং গোলাবারুদও উদ্ধার নেই, অভিযান কবে শেষ হবে জানতে চাইলে নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয় এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কিছু সন্ত্রাসী ও জঙ্গীদের বিরুদ্ধে যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালিত হচ্ছে, এ অভিযান কোন নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়, সাধারণ জনগণ সার্বিক সহযোগীতা করে যাচ্ছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান র‌্যাবের কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন।