Home বিনোদন কোহলিকে হটিয়ে ভারতে ব্র্যান্ড ভ্যালুর শীর্ষে রণবীর

কোহলিকে হটিয়ে ভারতে ব্র্যান্ড ভ্যালুর শীর্ষে রণবীর

SHARE

ভারতে বলিউড অভিনেতা রণবীর সিং ছিলেন ২০২২ সালে সবচেয়ে মূল্যবান সেলিব্রেটি। আর এক নম্বরে থাকা ক্রিকেটার বিরাট কোহলি অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর নেমে গেছেন দ্বিতীয় স্থানে। কর্পোরেট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিস্ক কনসালটিং ফার্ম ক্রোলের এক রিপোর্ট এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
‘সেলিব্রিটি ব্র্যান্ড ভ্যালুয়েশন রিপোর্ট ২০২২’ শিরোনামে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৮১.৭ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ১৪৯৪ কোটি রুপি ব্র্যান্ড ভ্যালু নিয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছেন রণবীর সিং। গত পাঁচ বছর শীর্ষে ছিলেন ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। এবার তাকে স্থানচ্যুত করলেন রণবীর।
১৭৬.৯ মিলিয়ন ডলার ব্র্যান্ড ভ্যালু নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেলেন কোহলি। ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর পর দু’বছর তার ব্র্যান্ড ভ্যালু কমে গেছে। তার ব্র্যান্ড মূল্য ২০২০ সালে ২৩৭ মিলিয়ন ডলারের বেশি ছিল, তবে ২০২১ সালে তা হ্রাস পেয়ে ১৮৫.৭ মিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। ১৫৩.৬ মিলিয়ন ডলার ব্র্যান্ড ভ্যালু নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন অভিনেতা অক্ষয় কুমার। ১০২.৯ মিলিয়ন ডলার নিয়ে এই তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন আলিয়া ভাট। দীপিকা পাড়ুকোনের ব্র্যান্ড ভ্যালুয়েশন ৮২.৯ মিলিয়ন ডলার, যা তাঁকে পঞ্চম স্থান এনে দিয়েছে। অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, হৃত্বিক রোশনের মতো তারকারা সেরা দশের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন।
সাবেক ক্রিকেটার এমএস ধোনির ব্র্যান্ড ভ্যালু ৮০ মিলিয়ন ডলার। সচিন তেন্ডুলকরের ব্র্যান্ড ভ্যালু ৭৩.৬ মিলিয়ন ডলার। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সেরা ২৫ জন সেলিব্রিটির ব্র্যান্ড ভ্যালু ধরা হয়েছে ১.৬ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২১ সালের তুলনায় প্রায় ২৯.১ শতাংশ বেশি। আর এই প্রথম ভারতের সেরা ২৫ জনের তালিকায় জায়গা করে নিলেন দক্ষিণী তারকা অল্লু অর্জুন ও রশ্মিকা মন্দানা। কমনওয়েলথ সোনাজয়ী পিভি সিন্ধুর সঙ্গে সেরা ২৫-এ জায়গা করে নিয়েছেন অলিম্পিক সোনাজয়ী নীরজ চোপড়াও। দু’জনেরই মূল্য ছিল ২৬.৫ মিলিয়ন ডলার।
ক্রোলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ভ্যালুয়েশন অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেস, অবিরল জৈন বলেন, ‘এই বছরের স্টাডির থিম হলো বিয়ন্ড দ্য মেইনস্ট্রিম। যা ক্রীড়া জগতের তারকাদের পাশাপাশি দক্ষিণ ভারতীয় তারকাদের উত্থানকে শক্তিশালী ব্র্যান্ড এনডোর্সার হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। ২০২২ সালে বক্স অফিসে দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার দ্বিতীয় সফল বছর, যার ফলে জাতীয়স্তরে বিজ্ঞাপন ও মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিতে টলিউডের অনেক মুখের খোঁজ পাওয়া যায়। এছাড়াও, কমনওয়েলথ গেমসের পরে অলিম্পিকে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের দৌলতে ভারতীয় ক্রীড়াজগতের তারকারা বেশ কয়েকটি এনডোর্সমেন্ট পেয়েছে।’