Home জাতীয় অনিয়ম হলে শুধু সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোট বাতিল করতে পারবে ইসি

অনিয়ম হলে শুধু সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোট বাতিল করতে পারবে ইসি

30
0
SHARE

জাতীয় সংসদের কোনো আসনের নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে পুরো আসনের ভোটের ফলাফল স্থগিত বা বাতিল করার ক্ষমতা পাচ্ছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে কোনো আসনে যেসব ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হলে, শুধু সেগুলোতে ভোট স্থগিত বা বাতিল করার ক্ষমতা পাচ্ছে ইসি। কিন্তু তারা কোনো সংসদীয় আসনের নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে কোনো ভোটকেন্দ্র বা পুরো আসনের ভোটের ফলাফল স্থগিত বা বাতিল করার ক্ষমতা চেয়েছিল।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনসংক্রান্ত আইন ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ’ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এটি অনুমোদনের পর এখন তা জাতীয় সংসদে বিল আকারে তোলা হবে। জাতীয় সংসদে পাস হলে এটি আইনের অংশ হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে এই সংশোধনী আনা হচ্ছে।
এর আগে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিওতে কিছু সংশোধনী প্রস্তাব করে গত বছর আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। গত ২৮ মার্চ মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরপিওর সংশোধনের বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তখন সিদ্ধান্ত হয়েছিল, খসড়ায় আরও কিছু সংশোধন, মতামতসহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আবারও মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। পরে খসড়া আবারও কিছুটা সংশোধন করে গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়েছিল।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ইসি একটি ‘জেনারেল পাওয়ার’ চেয়েছিল। একটি বা পাঁচটি ভোটকেন্দ্রের কারণে পুরো আসনের নির্বাচন স্থগিত বা বাতিল করা অগণতান্ত্রিক। এটি আইনের নীতিবহির্ভূত ও সংবিধান পরিপন্থী বলে এটা গ্রহণ করা হয়নি।
ইসির একটি সূত্র জানায়, নতুন এই বিধান যুক্ত হওয়ার পর যদি এমন হয় যে একটি আসনের পাঁচটি কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে, তাহলে শুধু ওই পাঁচটি আসনের ফল স্থগিত রেখে তদন্ত করে ফলাফল বাতিল করা যাবে। পুরো আসনের ফলাফল বাতিল করা যাবে না। আর যদি এমন হয়, ওই পাঁচটি কেন্দ্রের মোট ভোট ১০ হাজার। বাকি কেন্দ্রগুলোতে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে এগিয়ে থাকা প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ১০ হাজারের বেশি, অর্থাৎ ১০ হাজার ভোটের সব পেলেও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জয়ী হওয়ার সুযোগ নেই, সে ক্ষেত্রে ওই সব ভোটকেন্দ্রে আর নতুন করে ভোট করা হবে না। আর যদি ব্যবধান ১০ হাজারের কম হয় তাহলে সেসব কেন্দ্রে ফলাফল বাতিল করে আবার ভোট নেওয়া হবে।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত আইনের খসড়ার বিষয়ে জানাতে গিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পেশিশক্তি বন্ধ করার জন্য বা যেকোনো কারণে নির্বাচন চলাকালে যেকোনো মুহূর্তে এক বা একাধিক ভোটকেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত বা বাতিল করা যাবে।