Home বিনোদন অভিনেতাদের ধর্মঘটে কার্যত অচল হলিউড

অভিনেতাদের ধর্মঘটে কার্যত অচল হলিউড

22
0
SHARE

গত মে মাসে রাইটার্স গিল্ড অব আমেরিকার (ডব্লিউজিএ) ১১ হাজার সদস্য ধর্মঘটে নামেন। দাবি পূরণ না হওয়ায় কয়েক দিন আগে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন হলিউডের অভিনয়শিল্পীরা। তবে হলিউড স্টুডিওগুলোর সঙ্গে হলিউডের অভিনয়শিল্পীদের আলোচনা আশার আলো দেখিয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়েছে।
১ লাখ ৬০ হাজার অভিনয়শিল্পীর সংগঠন দ্য স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড। মেরিল স্ট্রিপ, জেনিফার লরেন্সের মতো প্রথম সারির শিল্পীরা এই সংগঠনের সদস্য। হলিউডের তাবড় তাবড় অভিনয়শিল্পীরা প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় নেমেছেন। সোমবার (১৭ জুলাই) নিউইয়র্কে তাপমাত্রা বেশ ছিল। রোদের মধ্যে ধর্মঘটে অংশ নেন শিল্পীরা। যদিও গরমের কারণে বিকালের দিকে ধর্মঘট বন্ধ রাখা হয়। এ ধর্মঘটের কারণে কার্যত হলিউডের সব কাজ এখন বন্ধ রয়েছে।
ধর্মঘটের ফলে একদিকে যেমন শুটিং বন্ধ, অন্যদিকে বড় বড় সিনেমার প্রিমিয়ারে অভিনেতারা উপস্থিত হচ্ছেন না। সিনেমার প্রচারেও তাদের দেখা যাবে না। ধর্মঘটের কারণে হলিউডের বড় বাজেটের কিছু সিনেমার শুটিং বন্ধ ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্টরা। এ তালিকায় রয়েছে— ‘মিশন: ইম্পসিবল-৮’, ‘ডেডপুল-৩’ ও ‘ভেনম-৩’।

মার্ভেল স্টুডিও এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের শুটিং বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে মার্ভেল আপাতত সিনেমাগুলোর শুটিং বন্ধ রেখেছে। পরবর্তী সিদ্ধান্তের পর তারা তাদের সিনেমার শুটিং আবার শুরু করবে। প্যারামাউন্ট পিকচার্স তাদের ‘মিশন : ইম্পসিবল-৮’ সিনেমার শুটিং বন্ধ করে দিয়েছে।
এরই মধ্যে যেসব সিনেমার শুটিং শেষ হয়েছে, সেসব সিনেমা খুব একটা ক্ষতির মুখে পড়বে না। তবে অনেক চলচ্চিত্র গ্রীষ্মে মুক্তি পাবে। যেমন আগামী ২২ জুলাই মুক্তি পাবে ‘ওপেনহাইমার’ ও ‘বার্বি’ সিনেমা। এসব সিনেমার প্রচার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তা ছাড়া আগামী বছর যেসব সিনেমা আসছে, সেগুলো এই ধর্মঘটের আওতায় পড়তে যাচ্ছে। এ তালিকায় রয়েছে— ‘অ্যাভাটার থ্রি এবং ফোর’, গ্ল্যাডিয়েটরের সিক্যুয়েল, ‘মুফাসা : দ্য লায়ন কিং’ প্রভৃতি।
একাধিক স্টুডিও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে অভিনয়শিল্পীদের সংগঠনের নেতৃবৃন্দের। কিন্তু দাবি মেনে নেয়নি স্টুডিও কর্তৃপক্ষ। অভিনেতাদের দাবি— তাদের বেতন বাড়াতে হবে। পাশাপাশি অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোকে জনপ্রিয়তা অনুযায়ী ইনসেনটিভ দিতে হবে। আগে টেলিভিশনের জনপ্রিয় সিরিয়ালগুলো ভিউ অনুযায়ী অভিনেতাদের ইনসেনটিভ দিত। কিন্তু নেটফ্লিক্সসহ অন্যান্য অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলো ভিউয়ের হিসেব পর্যন্ত দেয় না। ফলে কোনটি জনপ্রিয় হচ্ছে, তা বোঝাও যায় না, ইনসেনটিভও দেওয়া হয় না।
৬৩ বছর পর হলিউড ইন্ডাস্ট্রি এভাবে কার্যত অচল হয়ে গেছে। ১৯৬০ সালে শেষবার এমন ঘটনা ঘটেছিল।