Home জাতীয় ষড়যন্ত্রকারীরা বারবার ব্যর্থ হয়েছে, এবারও হবে : তথ্যমন্ত্রী

ষড়যন্ত্রকারীরা বারবার ব্যর্থ হয়েছে, এবারও হবে : তথ্যমন্ত্রী

SHARE

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ষড়যন্ত্রকারীরা ষড়যন্ত্র ছাড়া থাকতে পারে না। এখনো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র চলছে। তবে ষড়যন্ত্রকারীরা বারবার ব্যর্থ হয়েছে, এবারও ব্যর্থ হবে।
আজ রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাড়ে ১৪ বছরে ষড়যন্ত্র কী কম হয়েছে? বিডিআর বিদ্রোহ থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত ষড়যন্ত্র বহু হয়েছে। সমস্ত ষড়যন্ত্রকে পদদলিত করে, ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে দেশ এগিয়ে গেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা পরপর তিনবার দেশ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে। ভবিষ্যতে ষড়যন্ত্র থাকবে, সেগুলো ছিন্ন করে আমরা এগিয়ে যাব।
যারা ষড়যন্ত্র করে তারা বসে থাকতে পারে না উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এখন ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা আবার সক্রিয় হয়েছে। সুতরাং তারা আবার ষড়যন্ত্র করে কিছু করতে পারে কিনা চেষ্টা করছে। তারা তো বারবার ব্যর্থ হয়েছে, এখনো ব্যর্থ হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ফেসবুকে আমি দেখলাম যে ড. ইউনুস তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হচ্ছেন, আবার ফেসবুকে এটাও দেখেছি বিএনপি হিরো আলমকে পছন্দ করেছে। আসলে এগুলো ফেসবুকের প্রচার অপপ্রচার যাই বলেন, এগুলো নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না।
‘কেউ নোবেল পুরস্কার পেলে কিংবা রাষ্ট্রপ্রধান হলে বা প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি তো আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এ দেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিচার হয়েছে এবং সাজা ভোগ করছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নোবেল বিজয়ীদের বিচার হয়েছে এবং তারা জেলও খেটেছে। এমন উদাহরণ আছে। আমাদের বিচার প্রক্রিয়া অত্যন্ত স্বচ্ছ’ —বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মোহাম্মদ ইউনুসের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখে বলছি, সত্যটা হচ্ছে এই শ্রমিকদের ৫ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দেওয়ার কথা ছিল, যেটির মূল্য হচ্ছে ১২০০ কোটি টাকা। সেটি তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে এবং ঘুষ দিয়ে ৪০০ কোটি টাকায় নামিয়েছিলেন। সেটিও তিনি দেনি। সে জন্য বিচার হচ্ছে। আরও অনেক মামলা রয়েছে। কেউ তো আইনের বা বিচারের ঊর্ধ্বে নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার হচ্ছে। আমাদের দেশের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে বিবৃতি দেওয়া দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল। সে জন্য বাংলাদেশের সচেতন নাগরিক সমাজ এবং সাংবাদিকরা এর বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছেন।’