Home আন্তর্জাতিক ইসরায়েলকে সতর্ক করলেন বাইডেন

ইসরায়েলকে সতর্ক করলেন বাইডেন

SHARE

ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো হামলায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১৯ হাজার ফিলিস্তিনি। গাজায় দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়। ইসরায়েলের বর্বর এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ বাড়ছে। ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রতিবাদ সমাবেশ।

এমন পরিস্থিতিতে বেসামরিক মানুষের জীবন বাঁচাতে ইসরায়েলকে আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

আনাদোলু প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য ইসরায়েলকে আরও বেশি যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল যুদ্ধের মাত্রা কমিয়ে আনতে চায় যুক্তরাষ্ট্র, এমন রিপোর্টের মধ্যেই বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করলেন তিনি।

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধ হোক এমনটা চান কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, আমি চাই কীভাবে বেসামরিক মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে সেদিকে তারা মনোযোগী হোক। হামাসকে নির্মূলের কাজ বন্ধ করা যাবে না, তবে আরও সতর্ক হতে হবে।

এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের সমালোচনা করে বলেছেন, গাজায় নির্বিচারে বোমাবর্ষণের কারণে ইসরায়েল বিশ্বব্যাপী সমর্থন হারাচ্ছে।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধের টাইমলাইন সম্পর্কে বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস মিশ্র বার্তা পাঠিয়েছে। ইসরায়েলের এক জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ আরও কয়েক মাস স্থায়ী হতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপর থেকে টানা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই বর্বর হামলায় নিহত হয়েছেন প্রায় ১৯ হাজার ফিলিস্তিনি। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।

এই পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। ভোটাভুটিতে প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয় ১৫৩টি দেশ। অন্যদিকে বিপক্ষে ভোট দেয় ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রিয়া ও চেক রিপাবলিকসহ ১০টি দেশ। আর যুক্তরাজ্য ও জার্মানিসহ ২৩টি দেশ ভোটদান থেকে বিরত ছিল।