Home অর্থ-বাণিজ্য ১১ মাসে ৪২.৮৩ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি

১১ মাসে ৪২.৮৩ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি

21
0
SHARE

রপ্তানি খাতের বিভিন্ন পণ্যে নেতিবাচক ধারা থাকলেও পোশাক রপ্তানিতে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের ১১ মাসে শুধু পোশাক খাতেই প্রায় ৪৩ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই বাজারে মোট পোশাকের ২০ শতাংশের মতো রপ্তানি হয়। এই ১১ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি কমেছে ৯ শতাংশ। তবে ইউরোপের দেশগুলোতে (ইইউভুক্ত দেশগুলো) জানুয়ারি নভেম্বর সময়ে পোশাক রপ্তানি থেকে আয় ২ দশমিক ২৮ শতাংশ বেড়েছে।
অন্যদিকে অপ্রচলিত বাজারগুলোতে রপ্তানি বেশ বেড়েছে; বলা যায় উল্লম্ফন হয়েছে। জানুয়ারি-নভেম্বর সময়ে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২২ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি আয় দেশে এসেছে।
আর অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি বাড়ার কল্যাণেই সার্বিক পোশাক রপ্তানিতে এখনো ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ বজায় আছে বলে মনে করছেন পোশাক শিল্পমালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি কমাটা আমাদের জন্য উদ্বেগের। ইউরোপের বাজারের অবস্থাও ভালো নয়; নামমাত্র প্রবৃদ্ধি আছে। তবে আশার কথা হচ্ছে, অপ্রচলিত বাজারগুলোতে আমাদের রপ্তানি বেশ বেড়েছে।
তিনি বলেন, আমরা প্রচলিত বাজারের পাশাপাশি অপ্রচলিত (নতুন) বাজারেও রপ্তানি বাড়ানোর দিকে জোর দিয়েছিলাম। তারই ইতিবাচক ফল এখন আমরা পাচ্ছি। ভারতের পাশাপাশি জাপান, চীন, অষ্ট্রেলিয়া ও তুরস্কসহ অন্যান্য নতুন বাজারে রপ্তানি বাড়ছে। এমনকি যুদ্ধের কারণে নানা বাধার মধ্যেও রাশিয়াতেও এখন রপ্তানি বাড়ছে।
বৈশ্বিকভাবে ২০২৩ সালটি পোশাক খাতের জন্য ২০২২ সালের মতো অতটা ভালো ছিলো না। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালের বৈশ্বিক পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৫৭৬ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালে তা কিছুটা কমবে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। কেননা, ইতোমধ্যেই ইউরোপ ও আমেরিকার পোশাক আমদানি কমেছে।
বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত হচ্ছে তৈরি পোশাক। মোট রপ্তানি আয়ের ৮৫ শতাংশের মতো আসে এই খাত থেকে।
ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, ২০২২ সালে ৪৫ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছিল বাংলাদেশ। ২০২১ সালে ছিলো ৩৫ বিলিয়ন ডলার।